,

চুনারুঘাটে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে এক প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি :: চুনারুঘাট উপজেলার পারকুল গ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে কদ্দুছ আলী (৪০) নামে এক প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা পর থেকে স্ত্রী ও শালা পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের তীর ঘনীভূত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় চুনারুঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদ্দুছের লাশ পেয়ারা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশ লাশ নামিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাও ইউনিয়নের আব্দুল গফুরের পুত্র মৃত কদ্দুছ আলীর বড় ভাই হোসেন আলী জানান, দীর্ঘদিন ওমান থাকার পর বছরখানেক আগে কদ্দুছ বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে পারকুল গ্রামের আব্দুস সোবহানের কন্যা আছিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে আব্দুস সোবহান তার প্রথম স্ত্রীকে রেখে আছিয়াকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর দুই সতীনের মাঝে ঝড় বিবাদ লেগে থাকে। সংসারে অশান্তি দেখে কদ্দুছ ঢাকা চলে যায়। অন্যদিকে, দুই সতীন ঝগড়া করে আছিয়াও পিত্রালয়ে চলে গিয়ে কদ্দুছের উপর আদালতে যৌতুকের মামলা করে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ কদ্দুছকে গ্রেফতার করে। সে কিছুদিন কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে আসে। গত শনিবার মামলাটি আপোষের কথা বলে আছিয়া কদ্দুছকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে খাওয়া দাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে স্থানীয় লোকজন কদ্দুছের লাশ গাছে ঝুলতে দেখে হোসেন আলীকে খবর দেয়। পরে হোসেন আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে চুনারুঘাট থানায় খবর দিলে এসআই সজীব আলী লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তিনি জানান, মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হলেও মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তাছাড়া শালা ও স্ত্রীকে পাওয়ার পর মৃত্যুর সূত্র জানা যাবে। এদিকে, হোসেন আলী জানায়, তার ভাইকে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি মামলা দায়ের করবেন। অপর একটি সূত্র জানায়, আছিয়ার বোনের সাথে কদ্দুছের ভালো সম্পর্ক ছিল। এদিকে আছিয়ার বোন সাফিয়াকেও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর